টানা ম্যাচের পর আন্তর্জাতিক বিরতিতে কিছুটা অবসর পেয়েছেন পেপ গার্দিওলা। অবকাশযাপনে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ উড়াল দিয়েছেন ইতালিতে। সেখানে তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ‘চে তেম্পো চে ফা’ নামে সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে।
সেখানে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে গার্দিওলা কথা বলেছেন নিজের ক্যারিয়ার, বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্ক, মেসির প্রতি ভালোবাসাসহ নানা বিষয় নিয়ে। যেখানে মেসিকে ‘সর্বকালের সেরা’র স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি বার্সেলোনাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতে চান না বলেও মন্তব্য করেন গার্দিওলা।
বর্তমান সময়ে ফুটবলকে কতটা উপভোগ করছেন, জানতে চাইলে গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমি ভালো করছি। যদিও অনেক সময় কিছুটা ক্লান্ত বোধ করি। যেটা কাজ নিয়ে আমরা সবাই করি। তবু আমি ফুটবলকে অনেক ভালোবাসি।’ এখন পর্যন্ত তিনটি দলের দায়িত্ব পালন করেছেন গার্দিওলা—বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও সিটি। এই ক্লাবগুলো নিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘বার্সেলোনায় আমি ভাগ্যবান ছিলাম। এটা আমার হৃদয়ের কাছাকাছি দল। তবে ক্যারিয়ারে আমি তিনটি দুর্দান্ত ক্লাবে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়েছি।’
মেসিকে ছাড়া গার্দিওলার কোনো সাক্ষাৎকারই যেন পূর্ণতা পায় না। ইতালিয়ান টিভি চ্যানেলটির সঙ্গে আলোচনায়ও অবধারিতভাবে এসেছে মেসির প্রসঙ্গ। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে নিয়ে নিজের অবস্থান গার্দিওলা ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘আমার জন্য এটা বলা সহজ যে সে সর্বকালের সেরা ফুটবলার। হয়তো মনে হতে পারে আমি পেলে ও ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে অসম্মান করছি। কিন্তু মেসির মতো এমন ধারাবাহিক কাউকে কল্পনাও করতে পারি না। আমি তাকে দেখেছি প্রতিদিন অনুশীলন করতে এবং প্রতিটি ম্যাচ খেলতে। তাকে কাছ থেকে দেখলে আপনি টাইগার উডস কিংবা মাইকেল জর্ডানের কথা ভাববেন।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে কোন দলের মুখোমুখি হতে চান না, জানতে চাইলে মজার এক উত্তর দেন গার্দিওলা, ‘ভালো প্রশ্ন। হয়তো বার্সেলোনা। দলটির প্রতি আমার যে ভালোবাসা, সেটা আমাকে ধ্বংস করে দেবে। আমি (বার্সেলোনার) পাশের একটা গ্রামে জন্মেছি। তাদের মুখোমুখি হওয়া সহজ নয়।’
গার্দিওলার সঙ্গে ইতালির কিংবদন্তি ফুটবলার রবার্তো বাজ্জোর সম্পর্কটা বেশ উষ্ণ। ইতালিতে কখনো কোচিং করাতে চান কি না, জানতে চাইলে বাজ্জোর প্রসঙ্গ টেনে এই স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘ভবিষ্যতে, ইতালিতে? যদি রবার্তো (বাজ্জো) আমাকে সহায়তা করে। আমি তাকে জেনেছি তার ক্যারিয়ারের শেষ দিকে, যখন তার হাঁটু আঘাতের কারণে শেষ। সে অনেক কষ্টে নড়াচড়া করতে পারত, কিন্তু তখনো সেরা ছিল। নিজের সেরা সময়ে সে কেমন ছিল, তা আমি শুধু কল্পনাই করতে পারি। আমার ধারণা, সে বিশ্বব্যাপী সবার কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছে, সেটা শুধু খেলোয়াড়ি প্রতিভার জন্য নয়; বরং আরও অনেক কিছুর জন্য। ইতালিতে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে বাজ্জো ভালোবাসা পায় না। এটা স্রেফ অসম্ভব।’
0 Comments